আরিফ গাজী :
যথাযোগ্য মর্যাদা ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৫০তম মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সকল শ্রেনীপেশার মানুষ। বুধবার প্রভাতে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ চত্তরে ৫০বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে মুরাদনগর কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্বে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন(এফসিএ), উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম কিশোর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মোমিন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন, উপজেলা আ’লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, উপজেলার সকল কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ।
সকাল ৮টায় মুরাদনগর ডিআর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের মঞ্চে উপজেলা শিল্পকলার আয়োজনে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় মুরাদনগর থানা পুলিশ, বিএনসিসি, আনসার ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহনে সমাবেশ, কুচকাওয়াজ, অভিবাদন গ্রহন, শরীরচর্চা প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ নাজমুল আলম, কৃষি কর্মকর্তা মাঈনুউদ্দিন আহাম্মেদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল কাইয়ুম খসরু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ তমাল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানোয়ারা বেগম লুনা, জেলা পরিষদের সদস্য ভিপি জাকির হোসেন, মুরাদনগর থানার (ওসি) আবুল হাসিম, বাঙ্গরা বাজার থানার (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল আলম তালুকদার, সমাজসেবা কর্মকর্তা কবির আহাম্মদ, সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফয়েজুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক গাজীউল হক চৌধুরী ও সকল কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শণ শেষে বিজয়ী ও অংশগ্রহনকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়। এছাড়াও সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান এবং বিকেলে সমগ্র উপজেলায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে একযোগে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।
এছাড়াও শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। এছাড়াও খেলাধূলা, হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়।